Tamil Nadu: সিবিআই হেফাজত থেকে ১০০ কেজি সোনা উধাও, পুলিশ তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
সোনার গয়না (Photo credits: Pixabay)

চেন্নাই, ১২ ডিসেম্বর: কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইকে (CBI)-র হেফাজত থেকেই উধাও ১০৩ কেজি সোনা (Gold)! যার বাজারমূল্য প্রায় ৪৩-৪৫ কোটি টাকা। মাদ্রাজ হাই কোর্টের (Madras High Court) নির্দেশে এই ঘটনার তদন্ত করবে সিআইডি। গোটা ঘটনায় নিজেদের মুখ কালো করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থাটি। যদিও পুলিশি তদন্তের বিরোধিতা করেছিল তারা। যা নিজেদের জন্য অসম্মানজনক বলে মনে করেছে সিবিআই। যদিও আদালত তাদের সেই আবেদন মানেনি। সিআইডিকে এফআইআর করার নির্দেশ দিয়ে আদালত বলেছে, “এটি সিবিআইয়ের পক্ষে অগ্নী পরীক্ষা হতে পারে, তবে তাদের সাহায্য করা যায় না। যদি তাদের হাত সীতার মতো পরিষ্কার থাকে তবে তারা উজ্জ্বল হয়ে আসতে পারে। তা না হলে তাদের তদন্তের মুখোমুখি হতে হবে।”

সিবিআই স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর রাজ্য পুলিশের পরিবর্তে সিবিআই বা জাতীয় তদন্ত সংস্থার দ্বারা তদন্তের বিষয়ে জানতে চাইলে বিচারক পি এন প্রকাশ বলেন, “আদালত এই দৃষ্টিভঙ্গির পক্ষে চলতে পারবে না, কারণ আইন এই ধরনের অনুমোদন দেয় না। সমস্ত পুলিশ সদস্যকে বিশ্বাস করতে হবে এবং কেউ বলতে পারে না যে সিবিআই-র একটি শিং রয়েছে আর পুলিশে একটি লেজ রয়েছে।" আরও পড়ুন: PM Modi at FICCI Convention: 'কৃষকরা নতুন বাজার, বিকল্প ও প্রযুক্তির আরও বেশি সুবিধা পাবেন', কৃষি আইনের পক্ষে সওয়াল নরেন্দ্র মোদির

২০১২ সালে সুরানা কর্পোরেশন (Surana Corporation ) নামের চেন্নাইয়ের এক সংস্থার অফিস থেকে ওই সোনা বাজেয়াপ্ত করেছিল সিবিআই। সংস্থাটি বিদেশ থেকে সোনা-রুপো আমদানির কাজ করত। এদের বিরুদ্ধে ৮ বছর আগে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে প্রচুর অলঙ্কার আমদানির অভিযোগ ওঠে। সংস্থার ৪০০ কেজিরও বেশি সোনা বাজেয়াপ্ত করে সিবিআই। চারশো কেজি সোনা বাট ও গয়না আকারে ছিল। সব সোনা সংস্থার ভল্টে রাখা হয়েছিল। সিবিআই দাবি করে যে ভল্টের চাবিগুলি চেন্নাইয়ের একটি বিশেষ সিবিআই আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে, যদিও নথিগুলিতে এ সংক্রান্ত কোনও তারিখ উল্লেখ করা হয়নি।

২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে সিবিআই আরও একটি মামলা রেজিস্ট্রি করে। তাদের আবেদনের পর আদালত ৪০০ কেজি স্থানান্তর করার অনুমতি দেয়। আদালতের দ্বারা কোনও শারীরিক উপস্থিতি ছিল না, কারণ সোনা রাখা ছিল ভল্টে। এরপরে, ২০১৫ সালে সিবিআই দ্বিতীয় মামলায় একটি ক্লোজার রিপোর্ট দায়ের করে বলেছিল যে পর্যাপ্ত প্রমাণ নেই। সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত তা মেনে নিলেও বাজেয়াপ্ত করা সোনা ডিজিএফটি-র কাছে হস্তান্তর করার নির্দেশ দেয়।